বাড়ির একাংশে আচমকা ধস , জখম ১ : তদন্তে নামলো পুলিশ

7th January 2021 2:55 pm বর্ধমান
বাড়ির একাংশে আচমকা ধস , জখম ১ : তদন্তে নামলো পুলিশ


আমিরুল ইসলাম ( ভাতার ) :  আচমকা ভাতারের ঊষা গ্রামে রাতের অন্ধকারে এক তালার ছাদ ভেঙে পড়ল এক বৃদ্ধার উপর, ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। গতকাল রাত্রে ভাতারের ঊষা গ্রামে একটি দুতলা  বাড়ির একতলার এক অংশের ছাদ হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়ল এক বৃদ্ধার উপর, তা নিয়ে বিস্ফোরণের আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায় । গ্রামে শুরু হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য।স্থানীয়রা যখন উদ্ধার করে ওই বৃদ্ধাকে তিনি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাড়ির মধ্যে ছিলেন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছে ওই বৃদ্ধাকে। 
কিভাবে বাড়ির মধ্যে আগুন লাগল সে প্রশ্ন মানুষের মনে । পাশাপাশি ওই বাড়ির এক তালার ছাদ ভেঙে পড়লেও বাড়ির এডবেস্টারের চাল কিভাবে উড়ে গেল সে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে গ্রামে। অবশ্য পুলিশের দাবি, অত্যাধিক ভারে  বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। কারণ এক তলার ছাদে কোন রড দিয়া নেই।পুলিশের অনুমান শর্ট সার্কিট এর ফলে আগুন ধরে গেছিল নিচে ঘরে।
ঐ বৃদ্ধার নাম সুমিত্রা কর্মকার বয়স ৬৫ বছর।পাশের ঘরে শুয়ে ছিল সুমিত্রা কর্মকারের ছেলে বিপদতারণ কর্মকার ও তার স্ত্রী রাখি কর্মকার এবং ৫  বছরের একটি মেয়ে। অবশ্য তাদের হ্যা কোনো ক্ষতি হয়নি।কিভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল এই প্রশ্ন গ্রামবাসীর মনে। গ্রামের এক বাসিন্দা জটায় মাঝি জানান, রাত্রি তখন ৩:৩০ হঠাৎ বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায়, ঘুম থেকে উঠে শুনি আগুন আগুন করে চিল্লাচ্ছে কে?
 ছুটে গিয়ে দেখি পাশের বাড়ি বিপদতারণ কর্মকারের মা অগ্নিদগ্ধ হয়ে গেছেন।কিভাবে লাগলো আগুন? বাড়ি বা কিভাবে ভাঙলো? এবং বাড়ীর চাল কিভাবে উড়ে গেল ? কিছুই বুঝতে পারছিনা । পুলিশ সমগ্র ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ভাতার থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক প্রণব কুমার ব্যানার্জি ছুটে আসেন। বর্ধমান জেলা থেকে ছুটে আসেন সি, আই, ও  ডি,এস, পি, ক্রাইম।এনিয়ে ঊষা গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে ।
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।